0 Items
0 Tk
0 Items
...
ধানের ব্লাষ্ট রোগ

ধানের ব্লাস্ট (Blast) রোগ Pyricularia oryzae ছত্রাকের কারণে হয়ে থাকে। এটি ধানের সবচেয়ে ক্ষতিকর রোগগুলোর একটি, যা গাছের পাতা, গিঁট, শীষ ও ধানকে আক্রান্ত করতে পারে।

ধানের ব্লাস্ট রোগের লক্ষণ:

1. পাতার ব্লাস্ট: পাতায় ছোট বাদামি বা ধূসর দাগ দেখা যায়, যা পরে বড় হয়ে পাতা শুকিয়ে ফেলতে পারে।


2. গিঁট ব্লাস্ট: গাছের গিঁট কালো বা বাদামি হয়ে দুর্বল হয়ে যায়।


3. শীষ ব্লাস্ট: শীষ আংশিক বা পুরোপুরি শুকিয়ে যায়, ফলে ধান দানা বাঁধে না বা চিটা হয়ে যায়।

প্রতিরোধ ও সমাধান:

১. প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:

উপযুক্ত জাত ব্যবহার: ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাত যেমন - বি আর ৪৯, বি আর ৫৮, ব্রি ধান ৭১, ব্রি ধান ৮৪ চাষ করা।

ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলা: রোগের বিস্তার রোধে আক্রান্ত গাছ বা অংশ ধ্বংস করা।

উপযুক্ত সেচ ব্যবস্থাপনা: জমিতে অতিরিক্ত পানি জমতে দেওয়া যাবে না, আবার বেশি শুকনো থাকলেও সমস্যা হয়।

সুষম সার প্রয়োগ: অতিরিক্ত নাইট্রোজেন (ইউরিয়া) ব্যবহার করলে ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ বাড়ে, তাই ব্যালান্স করে পটাশ ও ফসফরাস প্রয়োগ করতে হবে।

সময়মতো বীজতলা তৈরি ও রোপণ: ধানের বয়স ও সঠিক সময়ে রোপণ করলে রোগের ঝুঁকি কমে যায়।


২. রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ:

ফাঙ্গিসাইড (ছত্রাকনাশক) প্রয়োগ:

মেমোরি প্লাস ৩২.৫ এসসি। এ্যাজোক্সিস্ট্রবিন + ডাইফেনোকোনাজল (Azoxystrobin + Difenoconazole) - প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে এবং মাইক-৫০ডব্লিউপি  (Carbendazim) ৫০% ডব্লিউপি - ১ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে একত্রে মিশিয়ে স্প্রে করবেন।

পরামর্শ:

রোগ দেখা দেওয়ার আগেই প্রতিরোধমূলক স্প্রে করা ভালো।

৭-১০ দিন পরপর স্প্রে পুনরায় করতে হবে, বিশেষ করে আর্দ্র ও ঠান্ডা আবহাওয়ায়।

ফসল সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নেওয়া উত্তম।


আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো এলাকা বা জাতের জন্য পরামর্শ চান, জানাতে পারেন

Last updated 5 months ago